• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
শহীদদের নিয়ে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে: সারজিস
আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।   বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। সারজিস বলেন, কোটা আন্দোলনে শহীদদের নিয়ে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে। বক্তব্যকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্ৰেপ্তার কিংবা হয়রানি না করতে অনুরোধ জানান তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও সরকারের বিভিন্ন স্তরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন মহল। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তাই ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর পৌঁছান সারজিসসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। দুপুর ১২টায় ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। আরটিভি/এসএইচএম
৯ ঘণ্টা আগে

অন্যায়কারী পুলিশের বিচার করতে হবে: সারজিস আলম  
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, কেউ অতি উৎসাহী হয়ে, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নিজের বীরত্ব তুলে ধরতে অন্যায়ভাবে নির্দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন। এ কাজগুলা যারা করেছেন তারা অন্যায়কারী। তিনি যদি পুলিশের কেউ হন, তার বিচার করতে হবে। পুলিশের যদি বিচার না হয় তাহলে আরেকজনের ক্ষেত্রেও বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ আছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচার হবে। অন্যায় অন্যায়ই, কাজেই যে দোষী, তার বিচার হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি মামলা করতে চান, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আমরা সহযোগিতা করব। আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে একটা জিনিস শুধু খেয়াল করবেন, বিনা দোষে যেন কাউকে হয়রানি না করা হয়। যেসকল ভাইয়েরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের নামটি যেন অপব্যবহার না হয়। মতবিনিময় সভায় ঢাকার ধামরাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাদ ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় নিহত রফিকের পরিবার ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।  আরটিভি/আইএম/এআর
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩০

সংস্কার বাস্তবায়ন হলে স্বপ্নের দেশ বাস্তবায়ন হবে: সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ছাত্র আন্দোলনের এই সিস্টেম সংস্কারটি ঘর থেকে শুরু হয়ে জেলায় পৌঁছাবে, জেলা থেকে বিভাগে, বিভাগ থেকে রাষ্ট্রে পৌঁছাবে। আর তখনই আমরা আমাদের দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জিলা স্কুল বড় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, সময়ের প্রয়োজনে সকলেই রাজপথে নেমেছেন। আত্মত্যাগ করেছেন। সামনের বাংলাদেশে আপনাদের মতো মেধাবীদের অবশ্যই জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পথচলা এই ঠাকুরগাঁও থেকে শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ একটা কথা মনে রাখবেন, আজকে থেকে আমাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি কথাই বলতে চাই, আজকের পর থেকে কোনো মানুষকে পোশাক দেখে বিচার করা যাবে না; আজকের পর থেকে কোনো মানুষকে দাড়ি-টুপি দেখে জাজ করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোনো মানুষকে তার দল দেখে জাজ না করে তার কাজ দেখে জাজ করতে হবে।  সীমান্তে হত্যার বিষয়ে সারজিস বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তে হত্যা বেড়েই চলেছে। এই ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষদের ভারতের সীমান্তে যাওয়ার আগেই বিএসএফের গুলি খেয়ে মরতে হয়। এর প্রতিটি গুলির বিচার ওই ফ্যাসিস্ট হাসিনা করতে পারেনি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, ওই খুনি হাসিনা থেকে শুরু করে যারা এই বিচারগুলো করতে দেয়নি, যারা ভারতের সেবাদাস হিসেবে ছিল, তাদের বিচার করতে হবে। মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক রাকিব রানা মাসুদ, মিশু আলী সুহাস ও ঠাকুরগাঁওয়ের হাজারো ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/এআর
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৫১

দল আর মার্কা দেখার সময় শেষ, এখন সময় যোগ্যতা দেখার: সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, যিনি আপনাদের কথা শুনবেন, প্রশ্নের উত্তর ও জবাবদিহির জন্য প্রস্তুত থাকবেন তাকে সংসদে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন। দল আর মার্কা দেখার সময় শেষ। এখন সময় যোগ্যতা দেখার। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ মাঠে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এ দেশের মানুষকে মরতে হয়। এসব হত্যার কোনো বিচার শেখ হাসিনা করতে পারেননি। যারা এ বিচার করতে দেয়নি তারা ভারতের সেবাদাস হিসেবে ছিল। এবার তাদের বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি সেটিতে যেন কোনো কালো শকুন থাবা দেওয়ার চেষ্টা করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই শকুনকে ছাত্র-জনতার ছিড়ে ফেলতে হবে। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সারজিস বলেন, যদি পঞ্চগড়ে আজকের পর থেকে বৈষম্য হয় তাহলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান এই চার দেশের যে সীমান্ত, এই চার দেশের যে হৃদপিণ্ড তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা আমরা চিরতরে বন্ধ করে দিব। মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এসআই শাহীন, রাকিবুল রানা মাসুদ, জহির রায়হান, তরিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ লিওন বক্তব্য দেন। এতে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফজলে রাব্বি, মোকাদ্দেছুর রহমান সান, আতিকুর রহমান আতিক উপস্থিত ছিলেন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৫৫

ছাত্র-জনতার ওপর বাংলাদেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: সারজিস আলম
ছাত্র-জনতার ওপর বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের যে আস্থা রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সেই আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।  রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দুর্নীতি-চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সারজিস আলম বলেন, ছাত্র-জনতার ওপর বর্তমান বাংলাদেশের মানুষের যে আস্থা রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর সেই আস্থা নেই। বাংলাদেশের এত এত মানুষ আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছে এখন সময় হয়েছে তার প্রতিদান দেওয়ার। বিগত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে ফ্যাসিবাদী সরকারকে অপসারণ করতে, তারা কি পেরেছে? বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঈদের পর, পূজার পর বিভিন্ন প্রোগ্রাম দিয়ে চেষ্টা করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য কিন্তু তারা পারেনি। সারজিস আলম বলেন, আমরা আন্দোলনের সময় যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আপনাদের সেভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিগত ১৬ বছরে সরকার যে কাজগুলো করেছে, যেভাবে আমাদের বোনদের ওপর নির্যাতন করেছে, আমাদের ভাই-বোনদের ওপর গুলি ছুড়েছে, রাস্তায় যেভাবে পশুপাখির মতো মানুষ মেরেছে, ট্রাকে করে ময়লার মধ্য দিয়ে আমাদের নিয়ে গেছে ওই ডকুমেন্টসগুলো আপনাদের সংরক্ষণ করতে হবে। একটি জিনিস মনে রাখবেন, ওই ফ্যাসিস্ট সরকার আপনাদের ইথিক্সগুলো ভুলিয়ে দিতে চাইবে। আপনি যদি এগুলো ভুলে যান তাহলে তারা আবার ক্ষমতায় বসতে পারবে। একটি জিনিস আপনাদের মনে রাখতে হবে, আগামী দিনে যারা শাসন করবে যারা রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেবে আবার যারা সরকার কায়েম করতে চাইবে তারা বৈষম্য আন্দোলনের ওই স্মৃতিগুলো মুছে দিতে চাইবে। আপনাদের কাজ হবে একটি ডকুমেন্টের মাধ্যমে হলেও আপনাদের সঙ্গে, আপনাদের পরিবারের সঙ্গে যা হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করে রাখা। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাবা-মায়েরা সারা জীবন আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ডাক্তার হতে হবে, ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। এই সমাজে যে পেশাগুলোর মর্যাদা আছে সেগুলো হতে হবে। আমাদের বাবা-মা কিংবা আমাদের অভিভাবকরা এই স্বপ্ন দেখাননি যে আমাদের ভালো রাজনীতিবিদ হতে হবে। আপনি বাংলাদেশে থেকে যা কিছু করেছেন, যে দায়িত্বগুলো পালন করছেন, যে নীতি সংবিধানে আছে, যে রুলস আপনি মেনে চলেন তার প্রত্যেকটি নির্ধারণ হয় ওই জাতীয় সংসদ থেকে। ওই জাতীয় সংসদে যারা বসে থাকেন তারা একজন রাজনীতিবিদ। সেই রাজনীতির জায়গায় যদি ভালো মানুষগুলো না যায় আপনি বাংলাদেশে যাই হন না কেন আপনাদের ওই খারাপ মানুষগুলো দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। সেই জায়গা থেকে আপনি যদি চান দেশ ভালো চলুক তাহলে আপনাকে রাজনীতি করতে হবে, নাহয় আপনাকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হতে হবে। দিনশেষে রাজনীতির বাইরে কিছুই নেই। ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা যখন আন্দোলন করেছি তখন আমরা দেখেছি কে এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড এই শব্দটা বারবার উচ্চারিত হয়েছে। আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড যেই হোক না কেন, এই আন্দোলনে যারাই সম্পৃক্ত ছিল তারা পৃথিবীর গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়েছে, জেনেছে তারপর আগামী দিনের প্রোগ্রাম কীভাবে সেট করতে হবে সেটা সেট করেছে। জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন করেও আমাদের সরাতে পারেনি। আমার সামনে যারা আগামীর বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বসে আছেন আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সময়ের প্রয়োজনে রাস্তায় নামবেন, সময়ের প্রয়োজনে ইটপাটকেল ছুঁড়বেন, প্রয়োজনে রাজপথে নেতৃত্ব দেবেন কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে স্টুডেন্ট অবস্থায় আমাদের প্রত্যেকের প্রধান কাজ হচ্ছে আমাদের লেখাপড়া। এ সময় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন সমন্বয়ক আব্দুল তাওসিফ রোহান, ইব্রাহিম নিরব, সামিয়া মাসুদ মম, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান মৃধা, শ্যামলী সুলতানা জেদনী প্রমুখ। এর আগে বিভাগীয় ও জেলা সফরের অংশ হিসেবে আজ সকালে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলমের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৪ সদস্যের একটি দল মুন্সীগঞ্জে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহরের একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহিংসতায় নিহত তিনজনের পরিবারের সদস্যসহ আন্দোলন কর্মসূচিতে ঢাকায় নিহত ছয়জনের পরিবারের সদস্য ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং খোঁজখবর নিয়ে সমবেদনা জানান। পরে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে মতবিনিময় করেন। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট মুন্সীগঞ্জের সুপার মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার কাজী মতিনের ছেলে রিয়াজুল ফরাজি, আলী আকবরের ছেলে মোহাম্মদ সজল ও সিরাজ সরদারের ছেলে নূর মোহাম্মদ ডিপজল। আহত হন অর্ধশতাধিক মানুষ।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৩৮

পুরো শাসনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে: সারজিস আলম
প্রশাসনসহ সব জায়গা থেকে আওয়ামীপন্থিদের উৎখাত করে দেশের পুরো শাসনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।  সোমবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার সদস্যদের হামলার প্রতিবাদ, ‘ষড়যন্ত্রকারী’ সাবেক ডিজিসহ সবার বিচার ও প্রশাসনকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে  এ মন্তব্য করেন তিনি।  সারজিস আলম বলেন, এখনো চাটুকার শক্তি প্রশাসনসহ সব জায়গায় আছে। ১৬ বছরের ফ্যাসিজমের সঙ্গে সহায়ক হিসেবে থাকা এই শক্তিকে প্রথমে উৎখাত করতে হবে, তারপর পুরো শাসনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। আনসারদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের সহায়তায় চাকরি পেয়েছে, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বিশ্বাস করি। শাসনব্যবস্থা নিয়ে এখনই প্রশ্ন না তোলার আহ্বান জানিয়ে এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা আমরা কখনো চাই না, আপনারা প্রশ্ন বা সমালোচনা না করে বসে থাকুন। কিন্তু নতুন একটি সরকার আসার পর তাকে শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠু করার জন্য কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হয়। তাই সবাইকে কিছুদিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, গতকাল আমাদের ভাইদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার হতে হবে, হামলায় জড়িত আনসারদের চিহ্নিত করে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা রহিত করতে হবে। ১৬ বছর ধরে গড়ে ওঠা এই ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে থাকা আওয়ামীপন্থিদের চিহ্নিত করে বিদায় করতে হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক লুৎফর রহমান সরকার বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিদায় নেওয়ার পরে আওয়ামী লীগ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা জুডিশিয়াল ক্যু করে, কখনো আমলাদের দিয়ে ক্যু করে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে ফিরে আসার চেষ্টা করেছে। আমরা বলে দিতে চাই, এসব ফ্যাসিস্টদের দোসরদের কোনো ষড়যন্ত্র হলে বাংলার ১৮ কোটি মানুষ একত্রে মোকাবিলা করবে।
২৬ আগস্ট ২০২৪, ২১:১৮

বিগত সরকার বাংলাদেশকে দুর্নীতির দেশে পরিণত করেছে: সারজিস
বিগত সরকার বাংলাদেশকে দুর্নীতির দেশে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।  বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ছাত্রদের দেখতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন ও বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে এসব কথা বলেন তিনি।  সারজিস আলম বলেন, আমরা বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কোনো একক বৈষম্য নয়। পুরো বাংলাদেশের সব সেক্টরের বৈষম্য। ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে দুর্নীতির বাংলাদেশে পরিণত করেছে। আমরা যদি এতে কাজ করতে যাই, মাথা থেকে গোড়া পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে। এখন মাথাগুলো শুরু হয়েছে, দিন দিন প্রতিটি ধাপে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে যেসব মানুষ কথা বলার সাহস করেননি, ৫৩ বছরে যারা রাস্তায় নামার খুব একটা সাহস করেননি, তারাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাচ্ছেন ১৬ দিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাক। এই মানুষগুলো তাদের ব্যক্তিগত কিংবা গোষ্ঠীগত ছোট উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে নামছেন। সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করছেন। সারজিস বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিন। আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করুন। আমাদের কাছে আসুন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হোক কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে আপনাদের বসার ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু পূর্বশর্ত হচ্ছে রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার জন্য তিন থেকে ছয় মাস অবশ্যই সময় দিতে হবে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:৪৯

১৫ আগস্ট বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে প্রতিহতের ঘোষণা সারজিসের
শোক দিবসের নামে ১৫ আগস্ট বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যে তিনি এ কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে ১৫ আগস্ট আমরা মাঠে থাকবো। পাল্টা গণ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা করলে কেউ গায়েবানা জানাজা পড়ার লোকও খুঁজে পাবে না। তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না যায়, ততদিন আমরা রাজপথে থাকবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের মতো অনেকেই আমাদের চারপাশে লুকিয়ে রয়েছেন। তাদের প্রতিহত করতে হবে। সারজিস আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো দলের বা জাতের ছিল না, এটি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার। ছাত্রজনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনও একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৬

গভীর রাতে ফেসবুকে যা লিখলেন সারজিস আলম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হওয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এ অভিনন্দন জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক।   তিনি লিখেছেন, প্রথমেই নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে অভিনন্দন। এটা যেমন তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্জন তেমনি দেশের মানুষের স্বার্থে স্যাক্রিফাইসও বটে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকার কারণে সামনের ইলেকশনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।  সারজিস আলম বলেন, আমি বিশ্বাস করি তারা দুজন এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পুরো দেশের মানুষের প্রাণের দাবিগুলোর প্রতিনিধিত্ব করবে। জনগণের রায় বাস্তবায়ন করতে চাপ প্রয়োগ করবে। আমাদের আস্থার প্রতিবিম্ব হয়ে উঠবে।  তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের এই অভ্যুত্থানের অন্যতম বড় অর্জন- বাংলাদেশের মানুষ তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে দেখতে চায়, দেশ গঠনে সামনের সারিতে প্রত্যাশা করে।  সারজিস লিখেছেন, এই তরুণদের মধ্যে কেউ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থাকবে, কেউ রাজপথে থাকবে। কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বে এসে নতুন করে ক্যাম্পাসগুলোকে ঢেলে সাজাবে। আবার কেউ হয়তো সংসদে দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।   ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের মানুষ যদি চায়, নিশ্চয় ভবিষ্যতে কোনো একটি ক্ষেত্রে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ’।  নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আসিফ মাহমুদ ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের, হাসনাত আব্দুল্লাহ ইংরেজি বিভাগের এবং সারজিস আলম প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র। তারা চারজনই ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের। 
০৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:০৫

এই বাংলায় ছাত্রলীগের নাম মুছে ফেলা হবে: সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, এই বাংলায় ছাত্রলীগের নাম মুছে ফেলা হবে। সোমবার (৫ আগস্ট)  সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। সারজিস আলম লেখেন, আমি কথা দিচ্ছি এই বাংলায় ছাত্রলীগের নাম মুছে ফেলা হবে। এদিন সন্ধ্যায় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা থেকে তারা তাদের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করবেন। এর বাইরে কোনো সরকার মেনে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তারা। এ সময় চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা নাহিদ ও আসিফ। তারা বলেন, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র নাগরিকের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এর বাইরে কোনো সরকার মেনে নেওয়া হবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ফ্যাসিস্ট, খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে করা হবে, পালানোর সুযোগ দেওয়া হবে না। তারা বলছেন, শুধু হাসিনা সরকারের পদত্যাগ নয়, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যার মধ্যেই নিরপরাধ ব্যক্তি, রাজবন্দি ও গুমদের মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে নেতারা। এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান খুব শিগগিরই সকল ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন।
০৫ আগস্ট ২০২৪, ২০:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়